নারাইন তাণ্ডবে উড়ে গেল দিল্লি
টি-টোয়েন্টি সংস্করণে কোনো দল যখন ২৭২ রান করে ফেলে তখন আসলে প্রতিপক্ষের কিছু করার থাকে না। খুব স্বাভাবিকভাবেই রানপাহাড়ে চাপা পড়ল দিল্লি ক্যাপিটালস। আজ বুধবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) ১০৬ রানের বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল স্বাগতিক কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)।
ইডেন গার্ডেন্সে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে সাত উইকেটে ২৭২ রানের পাহাড় গড়ে কেকেআর। যা দলটির সর্বোচ্চ ও টুর্নামেন্টের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। হিমালয়তুল্য লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ম্যাচের ১৬ বল বাকি থাকতে ১৬৬ রানে গুটিয়ে যায় দিল্লি ক্যাপিটালস।
কলকাতা রানের হিমালয় গড়েছে সুনিল নারাইন তাণ্ডবের সুবাদে। ৩৯ বলে সাতটি করে চার-ছক্কায় ৮৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন ক্যারিবীয় তারকা। আরেক ওপেনার ফিলিপ সল্ট অবশ্য ১২ বলে ১৮ রানে আউট হয়ে যান। ঝড় উঠেছে আন্দ্রে রাসেল, অঙ্ক্রিশ রাঘুভানশির ব্যাটেও।
২৭ বলে পাঁচটি চার ও তিন ছক্কায় ৫৪ রান করেন অঙ্ক্রিশ। ১৯ বলে চারটি চার ও তিন ছক্কায় রাসেল তোলেন ৪১ রান। এ ছাড়া অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার ১১ বলে ১৮ ও রিংকু সিং আট বলে ২৬ রান করেন। তাদের দারুণ ব্যাটিংয়ে কলকাতা পেয়েছে নিজেদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ছয় রানের জন্য কদিন আগে গড়া সানরাইজার্স হায়দরাদের রেকর্ড ভাঙতে পারল না তারা।
প্রায় অসম্ভব লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ধসে পরে দিল্লি ক্যাপিটালসের টপ অর্ডার। পঞ্চম ওভারে ৩৩ রানে চার উইকেট হারায় তারা। ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক ঋষভ প্যান্ট ও ত্রিস্টান স্টাবস। পঞ্চম উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ৯৩ রান।
এ সময় দুজনই তুলে নেন ব্যক্তিগত ফিফটি। ঋষভ ২৫ বলে চারটি চার ও পাঁচটি ছক্কার সহায়তায় করেন ৫৫ রান। ৩২ বলে চারটি করে চার-ছক্কায় ৫৪ রানে ফেরেন স্টাবস। এ ছাড়া ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ১৩ বলে ১৮ এবং পৃথ্বি শ সাত বলে ১০ রান করেন। বাকি সাত ব্যাটার যেতে পারেননি দশকের ঘরে।
কলকাতার পক্ষে তিনটি করে উইকেট নেন বরুন চক্রবর্তী ও ভাইভাব আরোরা। দুটি শিকার মিচেল স্টার্কের। এক উইকেট নেন নারাইন। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে তিনিই হয়েছেন ম্যাচ সেরা। আসরে তিন ম্যাচে এটা কলকাতার তৃতীয় জয়। এই জয়ে রাজস্থান রয়্যালসকে টপকে শীর্ষে উঠেছে তারা। অন্যদিকে চার ম্যাচের তিনটিতে হেরে টেবিলের নয় নম্বরে নেমেছে দিল্লি।
No comments